সাতক্ষীরায় ব্রহ্মরাজপুরে খাল খননে ডিসির নির্দেশ উপেক্ষিত: ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ২৮২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক খাল খননের দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়েনের শতাধিক গ্রামবাসি। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের লেখা আবেদনে এলাকবাসি উল্লেখ করেন সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোয়ালপোতা গ্রামের মধ্য হতে প্রবাহিত খালটি দীর্ঘদিন পলিজমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খালটি খননের কাজ শুরু করেছে। খালটি খননের কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ পানিবন্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নিজের ইচ্ছা মতো খালটি খনন করছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ম্যাপ ও সিডিউল অনুযায়ী কোন কাজ করছেন না।
খালের মধ্যে একাধিক দোকান ও ঘর রয়েছে যারা টাকা দিতে পারছেন সে সকল ব্যক্তিদের দোকান ও ঘর বহাল রেখেছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসও’র সাথে এলাকাবাসি বার বার মৌখিক অভিযোগ করলেও কোন কর্ণপাত না করে কিছু অসাধু ব্যক্তির টাকার বিনিময়ে হাত করে নিয়ে খাল খননের কাজটি অব্যহত রেখেছেন। জনস্বার্থে খালটি দুর্নীতিমুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ও সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসী দাবী জানান।
কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আজ অবধি কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। তারা বলেন, খালটি চেছেছুলে কোন রকমে খালের মাটি খালের পাড়ে রেখে চওড়া খালকে সরু নর্দমায় পরিণত করা হচ্ছে। খাল খননের নামে তামাসা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এভাবে খাল খনন করলে সরকারের কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে। এ খাল জনকল্যাণে কাজে আসবে না। বরং আসন্ন বর্ষা মৌসুমে খালটি স্থানীয়দের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এলাকাবাসি আরও বলেন, কথা ছিলো খালপাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক খাল খনন করা হবে।
কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। খালের পাড়ে প্রভাবশালীদের স্থাপনা রেখে গরীব অসহায়দের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও অনি দাসকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী মহল তাদের স্থাপনা বহাল রেখেছে। এলাকার শত শত মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে এ সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ অসম্ভব। কেননা প্রভাবশালী মহলের কাছে ইউনিয়ন পরিষদ এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে সরাসরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার শতশত মানুষ।
এ ব্যাপারে এসও অনি দাস বলেন, প্যাকেজ অনুসারে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ উচ্ছেদ না করলে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। এক্ষেত্রে আমার কী করার আছে? বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন ঢালীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।