সাতক্ষীরা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাত পোহালে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী  সমিতির নির্বাচন সাতক্ষীরায় জলবায়ু নায্যতার দাবি জানিয়ে দূর্যোগ কবলিত মানুষের সমবেত বিক্ষোভ সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সাইদুল ইসলামের মৃত্যুু সাতক্ষীরায় সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করলেন- মোস্তাক আহমেদ সাতক্ষীরা দেবহাটার শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আটক সাতক্ষীরায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ও ফোর্সদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় দাফনের ৩ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন সাফ জয়ী তিন ফুটবলারের গণ সংবর্ধনা ২১ নভেম্বর

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

সেদিনের অগ্নিঝরা ভাসনে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। আজ থেকে ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ তারিখে পদ্মা-মেঘনা-যমুনাবিধৌত এতদঅঞ্চলের মানুষ একটি ভাষণ শুনেছিল। যে মানুষটি ’৪৮ থেকে শুরু করে ’৭১ পর্যন্ত সময়ে ধাপে ধাপে সেই মহাজাগরণের ডাকটি দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন ইতিহাসের সমান্তরালে আর দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এক মহাজাগরণে শামিল হয়ে ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়তে; তিনিই হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত উচ্চারণ-‘এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।

এবং বাংলাদেশের মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এদেশের মানুষ ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রাখবে ইনশাল্লাহ, একজন মুসলিম নেতা একজন মুসলমান হৃদয়ের মানুষ কোনদিন কোন ধর্মাবলম্বীদেরকে যে কখনো ঘৃণা করেনি, প্রত্যেকটি জাতিই তাকে ভালবাসে তার জন্য যার চোখে কান্না আসে না, সে নিতান্তই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অংশীদার।

ইতিহাস জানেনা যারা ইতিহাস বিকৃত করতে চাই, যারা ইতিহাসের কলঙ্ক সৃষ্টিকারী, নিশ্চয়ই তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই দেখবে এদেশের মানুষ ইনশাল্লাহ, সেদিনের বাঙালি জাতি আজও প্রত্যেকটি কথাই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে,বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যাদেশনেত্রী দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী,বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিশলাকা, যা প্রজ্বালিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সেই দাবানলের, যার সামনে টিকতে পারেনি শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা। ১৯৭১-এর ৭ থেকে ২৫ মার্চ এ ১৮ দিনে এ ভাষণ বাংলাদেশেরে সাত কোটি মানুষকে প্রস্তুত করেছে মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। জন রিড রচিত বিশ্বখ্যাত ‘Days that shook the world’-যে কটি দিনে রাশিয়ায় মহামতি লেলিনের নেতৃত্বে অক্টোবর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বাঙালির কাছে ওই ১৮ দিন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাটি এসেছিল ২৬ মার্চের প্রথমে প্রহরে।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ, সারা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছে তারা সত্যিই দেশের জন্য গর্বিত সন্তান প্রকৃত দেশ প্রেমিক, পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আর দ্বিতীয় জন্ম নিবে না,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

আপডেট সময় : ০৬:২২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

সেদিনের অগ্নিঝরা ভাসনে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। আজ থেকে ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ তারিখে পদ্মা-মেঘনা-যমুনাবিধৌত এতদঅঞ্চলের মানুষ একটি ভাষণ শুনেছিল। যে মানুষটি ’৪৮ থেকে শুরু করে ’৭১ পর্যন্ত সময়ে ধাপে ধাপে সেই মহাজাগরণের ডাকটি দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন ইতিহাসের সমান্তরালে আর দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এক মহাজাগরণে শামিল হয়ে ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়তে; তিনিই হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত উচ্চারণ-‘এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।

এবং বাংলাদেশের মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এদেশের মানুষ ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রাখবে ইনশাল্লাহ, একজন মুসলিম নেতা একজন মুসলমান হৃদয়ের মানুষ কোনদিন কোন ধর্মাবলম্বীদেরকে যে কখনো ঘৃণা করেনি, প্রত্যেকটি জাতিই তাকে ভালবাসে তার জন্য যার চোখে কান্না আসে না, সে নিতান্তই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অংশীদার।

ইতিহাস জানেনা যারা ইতিহাস বিকৃত করতে চাই, যারা ইতিহাসের কলঙ্ক সৃষ্টিকারী, নিশ্চয়ই তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই দেখবে এদেশের মানুষ ইনশাল্লাহ, সেদিনের বাঙালি জাতি আজও প্রত্যেকটি কথাই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে,বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যাদেশনেত্রী দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী,বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিশলাকা, যা প্রজ্বালিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সেই দাবানলের, যার সামনে টিকতে পারেনি শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা। ১৯৭১-এর ৭ থেকে ২৫ মার্চ এ ১৮ দিনে এ ভাষণ বাংলাদেশেরে সাত কোটি মানুষকে প্রস্তুত করেছে মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। জন রিড রচিত বিশ্বখ্যাত ‘Days that shook the world’-যে কটি দিনে রাশিয়ায় মহামতি লেলিনের নেতৃত্বে অক্টোবর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বাঙালির কাছে ওই ১৮ দিন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাটি এসেছিল ২৬ মার্চের প্রথমে প্রহরে।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ, সারা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছে তারা সত্যিই দেশের জন্য গর্বিত সন্তান প্রকৃত দেশ প্রেমিক, পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আর দ্বিতীয় জন্ম নিবে না,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ।