ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানতে পারে বুধবার বন্দরে সতর্কসংকেত
- আপডেট সময় : ০৩:২১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক: ‘ঘূর্ণিঝড়প্রবণ’এই মাসে বঙ্গোপসাগরে অতিদ্রুত একটি ঘূনাবর্ত তৈরী হয়েছে। নিম্নচাপটি আজ সোমবার গভীর নিম্নচাপ অত:পর ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।
আগামী ২৫ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২ টার মধ্যে সরাসরি বাংলাদেশের খুলনা,বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকার উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের অগ্রভাগে থাকা মেঘমালা বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।গতকাল রাজধানী ঢাকায়ও বৃস্টি হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ সময় সব বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় হামুন যদি আঘাত হানে তবে ওই সময় বাতাসের গড় গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১০০-১১০ কিলোমিটার। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আজ ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ২৫০-৪০০ মিলিমিটার, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ১৫০-২৫০ মিলিমিটার, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০০-১৫০ মিলিমিটার এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ৫০-১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হতে পারে- বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায়।
গভীর নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘হামুন’। নামটি ইরানের দেওয়া, যার অর্থ- সমতল ভূমি বা পৃথিবী। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড.আবুল কালাম মল্লিক জানান,নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের অগ্রভাগে থাকা মেঘমালা বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। বিশেষ করে উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।