কুল্যার মোড়ে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে আবারও নবজাতের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ১১:৪৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
এস কে অজিবর রহমান কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড়ে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে আবারও নবজাতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আগেও কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় দীর্ঘদিন বন্দ থাকার পর সম্প্রতি পূর্ণ উদ্বোধন হলেই প্রথম সিজারিয়ান অপারেশানে এ নবজাতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের মান্নান সানার মেয়ে মারুফা খাতুনকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য কয়েকদিন আগে কুল্যার মোড়ের মৃত্যুপুরী নামক খ্যাত মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে ৫মার্চ বিকালে ভ্রাম্যমান এমবিবিএস চিকিৎসক আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগী ওমর ফারুক মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে মারুফা খাতুনকে সিজারিয়ান অপারেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তবে উক্ত অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ছিলো না বলে জানাগেছে। অপারেশন থিয়েটারে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপারেশন শেষ করলেও নবজাতক বাচ্চাটি শেষ রক্ষা হয়নি। এদিকে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের পরিচালনক তরুণ কুমার মন্ডল কাগজ কলমে রুগীর অভিভাবকদের নিকট থেকে কোন অভিযোগ নেই মর্মে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে বলে জানান অভিভাবকরা। অন্যদিকে উক্ত মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভূল অপারেশানে ইতি পূর্বে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮/১০ জন মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসকল অপরাধের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিক সিলগালা ও পরিচালনক তরুণ কুমার মন্ডলকে কারাবাসও করতে হয়েছে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাইন বোর্ড বিহীন ভবনে মারুফা খাতুনের প্রথম অপারেশনেই আবারও মৃত্যুপুরী উদ্বোধন করেন তরুণ কুমার মন্ডল। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, উক্ত ভ্রাম্যমান এমবিবিএস ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক এসকল অবৈধ ক্লিনিকে অপারেশন বন্দ করলে মৃত্যুর মিছিল বন্দ হবে বলে দাবী করেন তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে তরুণ কুমার মন্ডল বলেন, বাচ্চা আগে থেকেই মায়ের পেটে মরা ছিলো। আমার ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে মরা শিশু অপারেশন করেছি মাত্র। সাতক্ষীরা জেলা শহরে সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ থাকা সর্তেও এভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে মানহীন নাম মাত্র অবৈধ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকি’র বিষয় তুলে ধরে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এসব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।