সাতক্ষীরা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাময়িক বরখাস্ত ফজলুল হক ও তাঁর স্ত্রী খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ ৬৫৫ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্কঃ সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সাময়িক বরখাস্ত স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হক ও তাঁর স্ত্রী মোছাঃ খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঐ মামলা করেছে দুদক।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন বাদী হয়ে মঙ্গলবার ১২ই জুলাই দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ফজলুল হক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইছাকুড় গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন জানান, ফজলুল হক সিভিল সার্জন অফিসে চাকরিকালিন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তাঁর স্ত্রী খায়রুন নেছা স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা অর্জিত সম্পদ নিজ নামে গ্রহণ করে অপরাধে সহায়তা করেছেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন ফজলুল হক।

দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, ফজলুল হকের স্ত্রী খায়রুন নেছা গৃহিণী। খায়রুন নেছা নিজেকে মাছ চাষি ও পশু খাদ্যের ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু দুদককে দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেননি। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর নামে থাকা সম্পদ তাঁর স্বামীর দুর্নীতির অর্থে অর্জিত।

মোঃ আল আমীন বলেন, খায়রুন নেছার নামে থাকা ৪তলা বাড়িটির মূল্য তারা সম্পদ বিবরণীতে ৬৩ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে মূল্য পাওয়া যায় ৯৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা। তাঁর স্বামী ফজলুল হক ২০১২ সালে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে নিজ নামে জেলা শহরের পলাশপোল মৌজায় সেমিপাকা ৩ কক্ষবিশিষ্ট একটি বাড়ি কেনেন, যার রেজিস্ট্রি খরচসহ দলিল মূল্য ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি সম্পদ বিবরণীতে এর মূল্য দেখিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনি ৮৪ হাজার টাকা গোপন করেছেন। এ ছাড়াও ফজলুল তাঁর নিজ নামে এবং তাঁর ছেলেমেয়ের নামে থাকা ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাময়িক বরখাস্ত ফজলুল হক ও তাঁর স্ত্রী খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্কঃ সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সাময়িক বরখাস্ত স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হক ও তাঁর স্ত্রী মোছাঃ খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঐ মামলা করেছে দুদক।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন বাদী হয়ে মঙ্গলবার ১২ই জুলাই দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ফজলুল হক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইছাকুড় গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন জানান, ফজলুল হক সিভিল সার্জন অফিসে চাকরিকালিন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তাঁর স্ত্রী খায়রুন নেছা স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা অর্জিত সম্পদ নিজ নামে গ্রহণ করে অপরাধে সহায়তা করেছেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন ফজলুল হক।

দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, ফজলুল হকের স্ত্রী খায়রুন নেছা গৃহিণী। খায়রুন নেছা নিজেকে মাছ চাষি ও পশু খাদ্যের ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু দুদককে দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেননি। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর নামে থাকা সম্পদ তাঁর স্বামীর দুর্নীতির অর্থে অর্জিত।

মোঃ আল আমীন বলেন, খায়রুন নেছার নামে থাকা ৪তলা বাড়িটির মূল্য তারা সম্পদ বিবরণীতে ৬৩ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে মূল্য পাওয়া যায় ৯৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা। তাঁর স্বামী ফজলুল হক ২০১২ সালে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে নিজ নামে জেলা শহরের পলাশপোল মৌজায় সেমিপাকা ৩ কক্ষবিশিষ্ট একটি বাড়ি কেনেন, যার রেজিস্ট্রি খরচসহ দলিল মূল্য ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি সম্পদ বিবরণীতে এর মূল্য দেখিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনি ৮৪ হাজার টাকা গোপন করেছেন। এ ছাড়াও ফজলুল তাঁর নিজ নামে এবং তাঁর ছেলেমেয়ের নামে থাকা ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।