সাতক্ষীরা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তার কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২ ৪২০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে, ১০ নভেম্বর তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে আটক আদেশ দেন।

১০ নভেম্বর সকালে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড শুনানির জন্য বাবুল আক্তারকে ঢাকার আদালতে আনা হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে তাকে গ্রেফতার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়। এরপর দুপুর ২টার দিকে আদালত তার একদিনের জন্য মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরেট নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার  মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সম্প্রতি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এছাড়াও তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
কেআই/এএটি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তার কারাগারে

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে, ১০ নভেম্বর তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে আটক আদেশ দেন।

১০ নভেম্বর সকালে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড শুনানির জন্য বাবুল আক্তারকে ঢাকার আদালতে আনা হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে তাকে গ্রেফতার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়। এরপর দুপুর ২টার দিকে আদালত তার একদিনের জন্য মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরেট নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার  মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সম্প্রতি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এছাড়াও তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
কেআই/এএটি