সাতক্ষীরায় বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাছ,কাঁকড়া আহরণ বন্ধ
- আপডেট সময় : ০৮:০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সুন্দরবনে মাছ,কাঁকড়া আহরণ থেকে শুরু করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক চলতি বছরের জুন, জুলাই, আগষ্ট তিন মাস নদী থেকে মাছ, কাঁকড়া, বন থেকে মধু, পর্যটক ভ্রমণ সহ সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উজ্জীবিত হয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এ,সি,এফ) এম,কে,এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সাতক্ষীরা রেঞ্জ, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এর আওতাধীন কদমতলা, কৈখালী, কোবাদক ও বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তাদের নিয়ে সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
জানা গেছে, এম,কে,এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে তিনি ২৯-০৭-২২ তারিখ যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে সুন্দরবনের ৪ রেঞ্জে স্মার্ট পেট্রলিং, নিয়মিত টহল জোরদার, স্বদিচ্ছা ও ন্যায়পরায়ণতার কারনে সুন্দরবনে চোরা শিকারী, অবৈধ অনুপ্রবেশ, সহ সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ বন্ধ সম্ভব হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর বীরদর্পে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা কালীন সময় ২০২২-২০২৩ সালে “পি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ৫০ টি, পাশাপাশি “সি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ৪২ টি। এর মধ্যে আসামী ধৃত হয় ১৭৩ জন, আসামী পলাতক রয়েছে ৫১ জন। এ ছাড়া “ইউ,ডি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ৯৯ টি। ২০২৩-২০২৪ সালে ”পি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ৫২ টি, ও “সি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ৫৯ টি। এর মধ্যে আসামী ধৃত হয় ২০৯ জন, আসামী পলাতক রয়েছে ৪৭ জন। এ ছাড়া “ইউ,ডি,ও,আর” মামলা দায়ের হয় ১২৩ টি। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এ,সি,এফ) এম,কে,এম, ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার ফলশ্রুতিতে সুন্দরবনে চোরা শিকারী অনেকাংশেই কমে গেছে। নিয়মিত তদারকির কারণে ম্যানগ্রোভ খ্যাত সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে থাকা বাঘ, হরিণ সহ অন্যান্য প্রাণী নির্বিঘ্নে বিচরণ করছে। চলতি বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় সুন্দরবনের গহীনে ১৩৪ টি হরিণ মারা যায়। অপরদিকে সুন্দবনের অভয়ারণ্য থেকে লোকালয়ে চলে আসা ৩ টি জীবিত হরিণ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়। এদিকে একটি সক্রিয় চক্র সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ, কাঁকড়া আহরণের জন্য তৎপর হয়ে আছে।
আর এসব চক্রকে থামাতে নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনার কারণে একটি কুচক্রী মহল সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এ,সি,এফ) এম,কে,এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সহ সাতক্ষীরা রেঞ্জ, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এর আওতাধীন কদমতলা, কৈখালী, কোবাদক এবং বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করার নিমিত্তে মিথ্য অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয় সাতক্ষীরা রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক (এ,সি,এফ) এম,কে,এম, ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, সরকার ঘোষিত জুন, জুলাই এবং আগস্ট এই ৩ মাস নিষিদ্ধকালীন সময়ে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রলিং গ্রুপ টহল করে।
প্রতিমাসে সুন্দরবনের ৪ রেঞ্জে স্মার্ট পেট্রলিং করা হয়। তিনি আরও বলেন, পক্ষপাতহীন তদারকির জন্য এক রেঞ্জের স্মার্ট টিম অন্য রেঞ্জে এসে পেট্রলিং করেন, যাতে অপরাধ দমনে কোন ধরনের ঢিলেমি না হয়। তাছাড়া রেঞ্জ থেকে একটি স্পেশাল টিম গঠন করে অপরাধপ্রবণ এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল প্রদান করা হয়। এছাড়া বাউন্ডারী এলাকায় হরিণ শিকার রোধে জঙ্গলের ভিতর ফাঁদ উদ্ধারের জন্য নিয়মিত পায়ে হেটে টহল (ফুট পেট্রলিং) করা হয়।