শিমু রেজা এমপি কলেজের এডহক কমিটিতে ডালিয়া আফরোজের সভাপতি মনোনয়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের শিমু-রেজা এমপি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি বহিরাগত মোছা: ডালিয়া আফরোজ হওয়ার আশংকায় তার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় কলেজেটির গেটে এ মানববন্ধনে মৌতলা ইউনিয়নের শতাধিক ব্যাক্তিবর্গ ও শিমু রেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আনিছুর রহমান হাবিবুল্লাহ, আব্দুস সাত্তার, মাষ্টার আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ হাসানত আলী, আবু রায়হান, তৈহিনুর রহমান ও শাহাদৎ আযম প্রমূখ।
পরে মৌতলা এলাকা থেকে অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে এডহক কমিটি গঠনের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিটি হুবহু তুলে ধরা হলো – সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলার শিমু-রেজা এম.পি কলেজের এডহক কমিটিতে সভাপতি পদে অপরিচিত ও বহিরাগত জনাবা মোছা: ডালিয়া আফরোজ এর মনোনয়ন বাতিল ও অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের মধ্য থেকে সভাপতি মনোনয়ন প্রাদানের দাবীতে স্মারকলিপি। মহোদয়, যথোচিত সম্মান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পূর্বক আমরা শিমু-রেজা এম.পি কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন মৌতলা এলাকাবাসী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিনীত নিবেদন এই যে,বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট উন্নয়ন বঞ্চিত মৌতলা ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিমু-রেজা এম,পি কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনে বিনাভোটে নির্বাচিত স.ম. জগলুল হায়দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর পরস্পর আধিপত্য বিস্তারের দ্বিমুখী চাপ ও নির্দেশনার কারনে অত্র এলাকার সর্বসাধারণের পছন্দমতো যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন ও মনোনয়ন সম্ভব হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও অত্র কলেজের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এম পি এইচ, এম গোলাম রেজা সাহেবের মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দের কারনে বিগত প্রায় একযুগ সময়কালে এইচ,এস,সি পরীক্ষার ফলাফলে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ও যশোর বোর্ড এর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানসহ ধারাবাহিক ভাল ফলাফল অর্জনকারী এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নুন্যতম অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা আশাকরেছিলাম ছাত্র-জনতার গন অভ্যুত্থানের পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় অত্র প্রতিষ্ঠানে সরকারি বিধিমোতাবেক স্থানীয় সর্বজন সমার্থিত ও অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কাউকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একজন সম্পূর্ন অপরিচিত ব্যাক্তিকে তালিকার শীর্ষে রেখে অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনকারী, তৎপরবর্তীকালে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে কলেজের আপদকালীন কান্ডারী হিসেবে পরিচিত জনাব মো: আনোয়ারুল ইসলাম ও জনাব এস এম হাফিজুর রহমান কে যথাক্রমে ২য় ও তৃতীয় স্থানে রেখে তালিকা প্রেরণ করেছেন এটা আমাদের বোধগম্য নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এহেন অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সর্বসাধারণ যারপরনাই ব্যাথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। অতএব, অদ্য ০৬ ফেব্রুয়ারি সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে অত্র মনোনয়ন বাতিল ও দ্রুত সর্বজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সভাপতি মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনোত্তর অত্র স্মারকলিপি পেশ করলাম।অতএব, মহোদয় অত্র কলেজের সার্বিক উন্নয়নে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এল্লাকাবাসীর ন্যায্য দাবীর প্রেক্ষিতে সভাপতি পদে পূন: মনোনয়ন প্রদান করে বাধিত করবেন।