সাতক্ষীরা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“সাতক্ষীরা অপরাধ উন্মোচন ক্লাব” এর কমিটি গঠন: সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সম্পাদক মুজাহিদ মাদার নদীর ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় ৪ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা শ্যামনগরে রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের মাঝে চেক বিতরণ বল্লীতে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা  সাতক্ষীরার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  ব্রহ্মরাজপুর সাহা পাড়া থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবক যুবতী আটক  বালিথার শিশু ধর্ষক আব্দুল্লাহ সরদার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভোমরা থেকে পুলিশের হাতে আটক আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন সাতক্ষীরা জেলায় বিএনপির কার্যক্রম স্থগীত

মাদার নদীর ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় ৪ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুন্দরবন থেকে বেরিয়ে আসা মাদার নদীর ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো টি শ্যামনগর উপজেলার ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ উপজেলার তারানিপুর, ভবানীপুর, সৈদালীপুর ও মানিকপুর গ্রামের মানুষেরা প্রতিনিয়ত এই মাদার নদীর উপরে নির্মিত সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।

স্থানীয় প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, তাদের এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে নানাবিধ সমস্যা জড়িয়ে আছে, রাতের আঁধারে কোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে না তারা, ভারি কোন মালপত্র নিয়ে আসতে পারে না বাজার থেকে বাড়িতে, ছোট ছোট বাচ্চা ও প্রতিবন্ধী মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে না, স্থানীয়ভাবে তারা কোন রকমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে শ্যামনগর সদর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া আসা করে থাকেন বলে আরও একাধিক ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মানুষ একটি ব্রিজের দাবি করে আসছে, কিন্তু আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ওই এলাকার ইউপি মেম্বর আবু বক্কর জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদার নদীর উপরে তাদের যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজের দাবি করে আসতেছিল গ্রামবাসীরা, তবে আজও তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, জরাজীর্ণ বাসের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত মানুষের প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়, বিশেষ করে বাচ্চাদের ও বয়স্ক মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক সাঁকোটি, রাতে নেই কোন আলোর ব্যবস্থা, সংকীর্ণ সাঁকো দিয়ে উপজেলার চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকে, যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত চলতে হয় তাদেরকে।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা দ্রুত মাদার নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাদার নদীর ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় ৪ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা

আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুন্দরবন থেকে বেরিয়ে আসা মাদার নদীর ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো টি শ্যামনগর উপজেলার ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ উপজেলার তারানিপুর, ভবানীপুর, সৈদালীপুর ও মানিকপুর গ্রামের মানুষেরা প্রতিনিয়ত এই মাদার নদীর উপরে নির্মিত সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।

স্থানীয় প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, তাদের এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে নানাবিধ সমস্যা জড়িয়ে আছে, রাতের আঁধারে কোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে না তারা, ভারি কোন মালপত্র নিয়ে আসতে পারে না বাজার থেকে বাড়িতে, ছোট ছোট বাচ্চা ও প্রতিবন্ধী মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে না, স্থানীয়ভাবে তারা কোন রকমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে শ্যামনগর সদর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া আসা করে থাকেন বলে আরও একাধিক ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মানুষ একটি ব্রিজের দাবি করে আসছে, কিন্তু আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ওই এলাকার ইউপি মেম্বর আবু বক্কর জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদার নদীর উপরে তাদের যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজের দাবি করে আসতেছিল গ্রামবাসীরা, তবে আজও তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, জরাজীর্ণ বাসের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত মানুষের প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়, বিশেষ করে বাচ্চাদের ও বয়স্ক মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক সাঁকোটি, রাতে নেই কোন আলোর ব্যবস্থা, সংকীর্ণ সাঁকো দিয়ে উপজেলার চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকে, যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত চলতে হয় তাদেরকে।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা দ্রুত মাদার নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।