সাতক্ষীরা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কিশোরী হত্যার অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্কঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমীন এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ১০ই জুলাই সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এই রায় দেন। তবে আসামি পলাতক থাকায় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন নূরুল আমীন। নূরুল আমীন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে (১৩) অপহরণ করে ধর্ষণ করে নূরুল আমীন (২২) নামের এক যুবক। পরে ঐ কিশোরী গর্ভবতী হয়। একপর্যায়ে নূরুল আমীন একই সালের ২৮ অক্টোবর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ দিকে অপহরণের পরের দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে নূরুল আমীনসহ তাকে সহযোগীতা করার অভিযোগে আবদুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১০। তাং ০৮/০৪/২০১২। তবে কিশোরী নিহত হলে কলারোয়া থানার তৎকালিন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেন।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) এড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীট ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় নূরুল আমীনকে ১০ বছর ও একই আইনের ৯/২ ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কিশোরী হত্যার অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্কঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমীন এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ১০ই জুলাই সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এই রায় দেন। তবে আসামি পলাতক থাকায় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন নূরুল আমীন। নূরুল আমীন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের জনৈকা কিশোরীকে (১৩) অপহরণ করে ধর্ষণ করে নূরুল আমীন (২২) নামের এক যুবক। পরে ঐ কিশোরী গর্ভবতী হয়। একপর্যায়ে নূরুল আমীন একই সালের ২৮ অক্টোবর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ দিকে অপহরণের পরের দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে নূরুল আমীনসহ তাকে সহযোগীতা করার অভিযোগে আবদুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১০। তাং ০৮/০৪/২০১২। তবে কিশোরী নিহত হলে কলারোয়া থানার তৎকালিন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেন।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) এড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীট ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় নূরুল আমীনকে ১০ বছর ও একই আইনের ৯/২ ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।