সাতক্ষীরা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রেফতার দামারপোতায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করায় এলাকায় তোলপাড়  সাতক্ষীরা সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ মাজহারুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের কমিটি গঠিত। সভাপতি শেখ হাসান গফুর, সাধারন সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার তছরুপ : বদলির পরেও দিনরাত অফিসে, নথি গায়েবের অভিযোগ ১৫ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সাতক্ষীরা জেলা বি এন পির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সাতক্ষীরার ডিবি গার্লস হাইস্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সমাজের অভিভাবক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি সঙ্কটের সুন্দর সমাধান দিতে জানতেন। সাংবাদিকরা নানা মত ও পথে বিভক্ত থাকলেও সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন তিনি। সবার কাছেই তিনি ছিলেন সম্মানের মানুষ, সমাজের অভিভাবক। তিনি শুধু ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতাই ছিলেন না। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। তিনি বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ বেঁচে থাকবে। একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক মরহুম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংবাদপত্রের মালিকেরা। সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণসভা।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের অন্যতম সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
স্মরণসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চাইলে রাজনীতি ও ব্যবসায়ও যেতে পারতেন। তিনি সাংবাদিকতাতেই থেকে গেলেন। তার বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেই মৃত্যু হয়েছে তার।

এ কে আজাদ বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তার আদর্শ বেঁচে থাকবেন। নোয়াবের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মতো এমন সজ্জন মানুষ কমই দেখেছি। যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এখন সাংবাদিকতা নানা মত ও পথে বিভক্ত। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন বিভক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন। সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন একজন ভালো মানুষ, ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে নানা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

স্মরণসভায় অংশ নিয়ে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ তার বাবার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তার বাবা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। তাঁদেরও পরামর্শ দিতেন আত্মমর্যাদা ও জীবন চলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে ও চলতে। একই সঙ্গে সততা, শিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দিতেন। মৃত্যুর আগেও সাংবাদিকতার প্রতি তার ভালোবাসা একচুলও কমেনি।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রমূখ। স্মরণসভায় আলোচনার শুরুর দিকে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সমাজের অভিভাবক

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি সঙ্কটের সুন্দর সমাধান দিতে জানতেন। সাংবাদিকরা নানা মত ও পথে বিভক্ত থাকলেও সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন তিনি। সবার কাছেই তিনি ছিলেন সম্মানের মানুষ, সমাজের অভিভাবক। তিনি শুধু ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতাই ছিলেন না। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। তিনি বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ বেঁচে থাকবে। একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক মরহুম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংবাদপত্রের মালিকেরা। সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণসভা।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের অন্যতম সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
স্মরণসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চাইলে রাজনীতি ও ব্যবসায়ও যেতে পারতেন। তিনি সাংবাদিকতাতেই থেকে গেলেন। তার বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেই মৃত্যু হয়েছে তার।

এ কে আজাদ বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তার আদর্শ বেঁচে থাকবেন। নোয়াবের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মতো এমন সজ্জন মানুষ কমই দেখেছি। যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এখন সাংবাদিকতা নানা মত ও পথে বিভক্ত। কিন্তু রিয়াজ উদ্দিন বিভক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে একজন অবিভক্ত মানুষ ছিলেন। সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন একজন ভালো মানুষ, ভালো সাংবাদিক ও ভালো নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে নানা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

স্মরণসভায় অংশ নিয়ে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ তার বাবার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তার বাবা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। তাঁদেরও পরামর্শ দিতেন আত্মমর্যাদা ও জীবন চলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে ও চলতে। একই সঙ্গে সততা, শিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দিতেন। মৃত্যুর আগেও সাংবাদিকতার প্রতি তার ভালোবাসা একচুলও কমেনি।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রমূখ। স্মরণসভায় আলোচনার শুরুর দিকে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।