সাতক্ষীরা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রেফতার দামারপোতায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করায় এলাকায় তোলপাড়  সাতক্ষীরা সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ মাজহারুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের কমিটি গঠিত। সভাপতি শেখ হাসান গফুর, সাধারন সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার তছরুপ : বদলির পরেও দিনরাত অফিসে, নথি গায়েবের অভিযোগ ১৫ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সাতক্ষীরা জেলা বি এন পির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সাতক্ষীরার ডিবি গার্লস হাইস্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

সাতক্ষীরায় সবজির দাম বৃদ্ধিতে হতাশ নিন্ম মধ্যেবিত্ত ক্রেতারা।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

জি এম আমিনুল হক:সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে গত ১৫ দিন ধরে সবজির বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ চুম্বি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি দেশের অধিকাংশ সবজি বাগান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও সরবরাহ কম হওয়ায় সবজির দাম আপাতত কম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে দৈনিক পত্রদূতকে জানিয়েছেন একাধিক কাচামাল ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের ঝাঁজসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অতিষ্ঠ তারমধ্যে  সবজির দাম বেশি হওয়ায় বাজারে আসা ক্রেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।সুলতান পুর বড় বাজার, ধুলিহর ও  ব্রহ্মরাজ পুর সম্মিলিত বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  সব ধরনের সবজিসহ আটা,ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও কাচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষেরা। আবার সবজি ও মাছ বাজারে একেক সময় একেক রকম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সকালে একরকম দামে বিক্রি করা হচ্ছে আবার একই পণ্য বিকেলে আরেক রকম দামেও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কখনো কখনো একই বাজারের স্থান ভেদে একই পণ্য কেজিতে ২০/৩০টাকার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার এসব হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বেগুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা ১২০ থেকে ১৫০০ টাকা, খিরাই ৮০-১০০ টাকা, কচুমুখী ৮০ টাকা, বরবটি৫০- ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটোল৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, চালকুমড়া একটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ৬০- ৭০ টাকা, ওল৮০- ১০০ টাকা, কাচা কলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু৫৫-৬০ টাকা, ফুলকপি১৬০- ১৭০ টাকা, বাঁধাকপি৮০- ১০০ টাকা, মেটে আলু৮০- ৯০ টাকা, পালং ৩০ টাকা আটি, মুলা ৮০-৯০টাকা ও কচু৭০- ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব শাক সবজির লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা রাগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তাছাড়া সবজির বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি এসব সবজির দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে একাধিক সবজি চাষিসহ ব্যবসায়ীরা।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সবজি চাষি দৈনিক পত্রদূতকে জানিয়েছেন আমরা সবজি উৎপাদন করে যে দামে বাজারে বিক্রি করি তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে মধ্যেস্বর্ত্বভোগী সবজি ব্যবসায়ীরা।

গত ২সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের ডিমসহ আলু,ভোজ্যতেল,আটা,ময়দার দাম কেজিতে ৫-১৫টাকা বেড়েছে এবং  পেঁয়াজ১৫০-১৮০ ও রসুনের দাম কেজিতে২০০ থেকে২৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দামও ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রহ্মরাজপুর বাজারে বৃহস্পতিবার ডিম বিক্রি করা হয়েছে প্রতি পিছ ১৩-১৪টাকা

ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর বাজারে আসা রবিউল ইসলাম ও সাব্বির হোসেনসহ একাধিক ক্রেতা দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, ‘যে কোনো পণ্যের দাম বাড়লেও কমে খুব ধীর গতিতে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না।এ জন্য বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে বলে তারা জানান।অথচ চাষি মাজেদ আলী জানান- আমরা যে দামে সবজি বাজারে বিক্রি করছি তার দ্বিগুণ দাম দিয়ে সেই সবজি ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। আমরা সবজি উৎপাদন করে যথাযথ দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে অথচ সবজি ব্যবসায়ায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। ফলে তারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। সবজি বাজারের এহেন নৈরাজ্য ঠেকাতে বাজার গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

এছাড়া সুলতানপুর বড়বাজারে আসা ক্রেতা ভ্যানচালক কলিমউদ্দিন ও গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন রত্নাসহ একাধিক ক্রেতারা বলেন, বাজার করতে এসে তরকারি দাম শুনে মাথা গরম হয়ে ঘুরছে। বাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এত বাড়ছে যে,সারাদিনের আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের চাহিদার অর্ধেক জিনিস কিনতে পারছি না। আমাদের মতো দিন আনা -দিন খাওয়া  মানুষের জন্য বর্তমানে বেচে থাকা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।কয়েকজন বিক্রেতারা বলছে বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কম তাই দাম বেশি। দাম বেশি হলেও প্রয়োজন তাই কম হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।১হাজার টাকার সবজি কিনেও ১০ টাকার থলে ভরলো না।

এছাড়া সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে,একই বাজারে স্থান ভেদে সবজির দাম কেজি প্রতি  ১০-২০টাকার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের ব্রিজের আশে-পাশের সবজির দোকান গুলোতে সবজির দাম বেশি হলেও পূর্ব পাশের অর্থ্যাৎ মন্টু সাহেবের বাড়ির পাশের সবজির দোকানগুলোতে বেশ কম দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। 

এদিকে মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। গত বছরের এ সময়ে এক কেজি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে। ফার্মের মুরগির ডিম এক হালি ৫৪ থেকে ৬০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাতক্ষীরায় সবজির দাম বৃদ্ধিতে হতাশ নিন্ম মধ্যেবিত্ত ক্রেতারা।

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

জি এম আমিনুল হক:সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে গত ১৫ দিন ধরে সবজির বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ চুম্বি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি দেশের অধিকাংশ সবজি বাগান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও সরবরাহ কম হওয়ায় সবজির দাম আপাতত কম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে দৈনিক পত্রদূতকে জানিয়েছেন একাধিক কাচামাল ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের ঝাঁজসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অতিষ্ঠ তারমধ্যে  সবজির দাম বেশি হওয়ায় বাজারে আসা ক্রেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।সুলতান পুর বড় বাজার, ধুলিহর ও  ব্রহ্মরাজ পুর সম্মিলিত বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  সব ধরনের সবজিসহ আটা,ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও কাচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষেরা। আবার সবজি ও মাছ বাজারে একেক সময় একেক রকম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সকালে একরকম দামে বিক্রি করা হচ্ছে আবার একই পণ্য বিকেলে আরেক রকম দামেও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কখনো কখনো একই বাজারের স্থান ভেদে একই পণ্য কেজিতে ২০/৩০টাকার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার এসব হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বেগুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা ১২০ থেকে ১৫০০ টাকা, খিরাই ৮০-১০০ টাকা, কচুমুখী ৮০ টাকা, বরবটি৫০- ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটোল৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, চালকুমড়া একটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ৬০- ৭০ টাকা, ওল৮০- ১০০ টাকা, কাচা কলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু৫৫-৬০ টাকা, ফুলকপি১৬০- ১৭০ টাকা, বাঁধাকপি৮০- ১০০ টাকা, মেটে আলু৮০- ৯০ টাকা, পালং ৩০ টাকা আটি, মুলা ৮০-৯০টাকা ও কচু৭০- ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব শাক সবজির লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা রাগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তাছাড়া সবজির বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি এসব সবজির দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে একাধিক সবজি চাষিসহ ব্যবসায়ীরা।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সবজি চাষি দৈনিক পত্রদূতকে জানিয়েছেন আমরা সবজি উৎপাদন করে যে দামে বাজারে বিক্রি করি তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে মধ্যেস্বর্ত্বভোগী সবজি ব্যবসায়ীরা।

গত ২সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের ডিমসহ আলু,ভোজ্যতেল,আটা,ময়দার দাম কেজিতে ৫-১৫টাকা বেড়েছে এবং  পেঁয়াজ১৫০-১৮০ ও রসুনের দাম কেজিতে২০০ থেকে২৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দামও ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রহ্মরাজপুর বাজারে বৃহস্পতিবার ডিম বিক্রি করা হয়েছে প্রতি পিছ ১৩-১৪টাকা

ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর বাজারে আসা রবিউল ইসলাম ও সাব্বির হোসেনসহ একাধিক ক্রেতা দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, ‘যে কোনো পণ্যের দাম বাড়লেও কমে খুব ধীর গতিতে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না।এ জন্য বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে বলে তারা জানান।অথচ চাষি মাজেদ আলী জানান- আমরা যে দামে সবজি বাজারে বিক্রি করছি তার দ্বিগুণ দাম দিয়ে সেই সবজি ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। আমরা সবজি উৎপাদন করে যথাযথ দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে অথচ সবজি ব্যবসায়ায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। ফলে তারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। সবজি বাজারের এহেন নৈরাজ্য ঠেকাতে বাজার গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

এছাড়া সুলতানপুর বড়বাজারে আসা ক্রেতা ভ্যানচালক কলিমউদ্দিন ও গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন রত্নাসহ একাধিক ক্রেতারা বলেন, বাজার করতে এসে তরকারি দাম শুনে মাথা গরম হয়ে ঘুরছে। বাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এত বাড়ছে যে,সারাদিনের আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের চাহিদার অর্ধেক জিনিস কিনতে পারছি না। আমাদের মতো দিন আনা -দিন খাওয়া  মানুষের জন্য বর্তমানে বেচে থাকা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।কয়েকজন বিক্রেতারা বলছে বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কম তাই দাম বেশি। দাম বেশি হলেও প্রয়োজন তাই কম হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।১হাজার টাকার সবজি কিনেও ১০ টাকার থলে ভরলো না।

এছাড়া সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে,একই বাজারে স্থান ভেদে সবজির দাম কেজি প্রতি  ১০-২০টাকার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের ব্রিজের আশে-পাশের সবজির দোকান গুলোতে সবজির দাম বেশি হলেও পূর্ব পাশের অর্থ্যাৎ মন্টু সাহেবের বাড়ির পাশের সবজির দোকানগুলোতে বেশ কম দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। 

এদিকে মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। গত বছরের এ সময়ে এক কেজি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে। ফার্মের মুরগির ডিম এক হালি ৫৪ থেকে ৬০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।