সাতক্ষীরা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রেফতার দামারপোতায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করায় এলাকায় তোলপাড়  সাতক্ষীরা সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ মাজহারুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের কমিটি গঠিত। সভাপতি শেখ হাসান গফুর, সাধারন সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার তছরুপ : বদলির পরেও দিনরাত অফিসে, নথি গায়েবের অভিযোগ ১৫ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সাতক্ষীরা জেলা বি এন পির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সাতক্ষীরার ডিবি গার্লস হাইস্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

পর্ব– ১ পাটকেলঘাটা পোস্ট অফিসের “পোস্টাল অপারেটর” যখন চিকিৎসক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ ইব্রাহিম খলিল :সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসে বসে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ পোস্টাল অপারেটরের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের “পোস্টাল অপারেটর” মধুসূদন বাছাড় অফিসের কাজের ফাঁকে তিনি কর্মস্থলে রোগী দেখেন। অভিযোগ উঠেছে, পোস্ট অফিসের একজন সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্বেও তিনি বাড়তি আয় করার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

পোস্টাল অপারেটর মধুসূদন বাছাড় এর এমন কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ হতবিহ্বল। পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর মধুসূদন বাছাড় পোস্ট অফিসের কাজের ফাঁকে রোগী দেখার খবরটি বিভিন্ন মহলে সরব হয়ে উঠেছে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একজন সরকারি চাকুরিজীবী অন্য কোন পেশায় জড়াতে পারবেনা। একজন সরকারি চাকুরিজীবী সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অন্য কোন পেশায় জড়ালে ঘটবে বিপত্তি।

বলাই বাহুল্য সরকারি চাকরি করা কালীন সময় খণ্ডকালীন অন্য চাকরি কিংবা অন্য কোন পেশায় জড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে যদি অন্য কোন পেশায় সরাসরি যুক্ত থাকা হয় আর তা প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে চাকরিও চলে যেতে পারে বলেও মতামত রয়েছে।

এসব বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও মধুসূদন বাছাড় সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর হয়েও এক সাথে দুটি দায়িত্ব কোন শক্তির বলে পালন করেছেন এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। মধুসূদন বাছাড় এর একটি ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায়, তিনি একজন চিররোগ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

তার নামের আগে যুক্ত করা হয়েছে ডাক্তার পদবি। ডাঃ মধুসূদন বাছাড়, ডি এইচ এম এস (ঢাকা) হোমিওপ্যাথিক কনসালট্যান্ট। খোজ নিয়ে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে মধুসূদন বাছাড় তার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখে বিক্রির জন্য। মধুসূদন বাছাড় একজন সরকারি চাকুরিজীবী আবার তিনি পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।

পোস্টাল অপারেটরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দূর থেকে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি মাসে ইনকাম করেন লক্ষাধিক টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসে দীর্ঘদিন যাবত মধুসূদন বাছাড় কাজের ফাঁকে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গোপনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়।

সেকারণে বলা চলে, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিস এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিনত।

এ বিষয় পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর এর দায়িত্বে থাকা মধুসূদন বাছাড় এর সাথে সরাসরি আলাপকালে, পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর হিসেবে প্রথমে পরিচয় প্রদান করেন।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কথোপকথনের একপর্যায় তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রকাশ করেন। ভিজিটিং কার্ড এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ইতস্তত বোধ করলেও পরে ভিজিটিং কার্ডটি তার বলে অকপটে স্বীকার করেন।

সরকারি চাকুরিজীবী হওয়া সত্বেও ডাক্তারী পেশা কতটুকু আইন সম্মত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বৈধ নয় সঠিক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অস্বীকার করে বলেন, পোস্ট অফিসে আমি কোন রোগী দেখিনা আমার নিজস্ব চেম্বার আছে সেখানে আমি ছুটির দিনে রোগী দেখি।

এ ঘটনায় সচেতন মহল সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পর্ব– ১ পাটকেলঘাটা পোস্ট অফিসের “পোস্টাল অপারেটর” যখন চিকিৎসক

আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

মোঃ ইব্রাহিম খলিল :সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসে বসে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ পোস্টাল অপারেটরের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের “পোস্টাল অপারেটর” মধুসূদন বাছাড় অফিসের কাজের ফাঁকে তিনি কর্মস্থলে রোগী দেখেন। অভিযোগ উঠেছে, পোস্ট অফিসের একজন সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্বেও তিনি বাড়তি আয় করার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

পোস্টাল অপারেটর মধুসূদন বাছাড় এর এমন কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ হতবিহ্বল। পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর মধুসূদন বাছাড় পোস্ট অফিসের কাজের ফাঁকে রোগী দেখার খবরটি বিভিন্ন মহলে সরব হয়ে উঠেছে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একজন সরকারি চাকুরিজীবী অন্য কোন পেশায় জড়াতে পারবেনা। একজন সরকারি চাকুরিজীবী সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অন্য কোন পেশায় জড়ালে ঘটবে বিপত্তি।

বলাই বাহুল্য সরকারি চাকরি করা কালীন সময় খণ্ডকালীন অন্য চাকরি কিংবা অন্য কোন পেশায় জড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে যদি অন্য কোন পেশায় সরাসরি যুক্ত থাকা হয় আর তা প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে চাকরিও চলে যেতে পারে বলেও মতামত রয়েছে।

এসব বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও মধুসূদন বাছাড় সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর হয়েও এক সাথে দুটি দায়িত্ব কোন শক্তির বলে পালন করেছেন এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। মধুসূদন বাছাড় এর একটি ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায়, তিনি একজন চিররোগ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

তার নামের আগে যুক্ত করা হয়েছে ডাক্তার পদবি। ডাঃ মধুসূদন বাছাড়, ডি এইচ এম এস (ঢাকা) হোমিওপ্যাথিক কনসালট্যান্ট। খোজ নিয়ে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে মধুসূদন বাছাড় তার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখে বিক্রির জন্য। মধুসূদন বাছাড় একজন সরকারি চাকুরিজীবী আবার তিনি পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।

পোস্টাল অপারেটরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দূর থেকে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি মাসে ইনকাম করেন লক্ষাধিক টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসে দীর্ঘদিন যাবত মধুসূদন বাছাড় কাজের ফাঁকে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গোপনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়।

সেকারণে বলা চলে, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিস এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিনত।

এ বিষয় পাটকেলঘাটা সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর এর দায়িত্বে থাকা মধুসূদন বাছাড় এর সাথে সরাসরি আলাপকালে, পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর হিসেবে প্রথমে পরিচয় প্রদান করেন।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কথোপকথনের একপর্যায় তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রকাশ করেন। ভিজিটিং কার্ড এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ইতস্তত বোধ করলেও পরে ভিজিটিং কার্ডটি তার বলে অকপটে স্বীকার করেন।

সরকারি চাকুরিজীবী হওয়া সত্বেও ডাক্তারী পেশা কতটুকু আইন সম্মত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বৈধ নয় সঠিক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অস্বীকার করে বলেন, পোস্ট অফিসে আমি কোন রোগী দেখিনা আমার নিজস্ব চেম্বার আছে সেখানে আমি ছুটির দিনে রোগী দেখি।

এ ঘটনায় সচেতন মহল সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।