সাতক্ষীরায় আটকের ৪ ঘন্টাপর মুক্তি মিলল আ’লীগ নেতা রফিকুল এর

- আপডেট সময় : ১২:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ২৫১ বার পড়া হয়েছে
আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টার:জামাত বিএনপি নাশকতা মামলার তদবির সহ দলীয় শৃঙ্খলা ভংগের দায়ে পুলিশের হাতে আটকের ৪ঘন্টা পর মুক্তি মিলেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক আ”লীগ নেতার।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তাকে পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর মেল্লেকবাড়ী এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তালা উপজেলা আ’লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমারের জিম্মায় তার মুক্তি মেলে বলে স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের দাবী। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম পাটকেলঘাটা থানার রাঢ়ী পাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল মোড়লের ছেলে ও কুমিরা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক।
জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারী-২০২৩ সোমবার সকালে পাটকেলঘাটা থানার নাশকতা মামলার আসামীদের জামিন করানোর জন্য আদালতে হাজির হন রফিকুল ইসলাম। ওই সময় একজন উৎসুক ব্যক্তি ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করেন। পরিবর্তে সেটি স্থানীয় পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে আদালতে আসামীদের সাথে গভীর সখত্যা দেখা যায় রফিকুল ইসলাম এর। মামলার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে পাটকেলঘাটা থানার এস আই আমির হোসেন বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০ জনকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এছাড়া নাশকতা ঘটানোর মূল পরিকল্পনাকারী ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুদ্দীন। মামলার আসামীরা সকলে জামায়াত ও বিএনপি’র সক্রিয় নেতাকর্মী বলে সুত্রে জানায়।এদিকে ঘটনার দিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হাফিজুর সরদার (৩০), মালেক সরদার (৫৫), সেলিম হোসেন (৪০), মাও: সাইফুদ্দীন (৪৮), আজিজুল সরদার (৪৫), আব্দুল হাই, মাও: (৪৫), ইদ্রিস আলী মোড়ল (৪৫), জাকির মাও: (৪২) ও আব্দুর রাকিব (৪৮) ওই দিন আদালতে সহযোগী হিসাবে রফিকুল ইসলামকে দেখা যায় বলে স্থানীয় একটি সুত্রের দাবী। কুমিরা ইউনিয়ন আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতা পাওয়ার পর আ’লীগ নেতা রফিকুল বেপারোয়া হয়ে ওঠেন। বর্তমানে কুমিরা এলাকায় জমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনকে জিম্মী করে টাকা আদায় করে বেড়াত।
তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাকে বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। একসময় তার টালির ঘর ছিল বর্তমানে সে তিন তলা বাড়ির মালিক।
তার এই অপকর্ম বন্ধ ও তাকে বহিষ্কারের দাবীতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কুমিরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান মিঠু বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে জামাত বি এনপির দোশর হয়ে তাদের ধিক্কার জানায়। কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দলীয় পদে থেকে জামাত বিএনপির দোশর হয়ে কাজ করেন। এছাড়া তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা সহ নিয়োগ বানিজ্য করে গড়ে তুলেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়া অবৈধ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনও নাশকতা মামলার আসামীদের পক্ষে নন । তবে সেদিন ব্যক্তিগত কাজে এ্যাড. তপন এর সাথে দেখা করতে গেলে আসামীদের সাথে দেখা হয়েছিল। তাকে নিয়ে মিথ্যাচার সহ রাজনৈতিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থনেশী মহল গুজব ছড়াচ্ছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় আ’লীগ আটকের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।