সাতক্ষীরা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রেফতার দামারপোতায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করায় এলাকায় তোলপাড়  সাতক্ষীরা সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ মাজহারুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের কমিটি গঠিত। সভাপতি শেখ হাসান গফুর, সাধারন সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার তছরুপ : বদলির পরেও দিনরাত অফিসে, নথি গায়েবের অভিযোগ ১৫ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সাতক্ষীরা জেলা বি এন পির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সাতক্ষীরার ডিবি গার্লস হাইস্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

লেহি আইন প্রয়োগ মার্কিন অনুদান নিতে শর্ত মেনে দ্রুত জানাতে হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ৯৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে ‘লেহি আইন’ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে আগ্রহী দেশকে প্রাপ্ত অর্থ কোথায় ব্যয় হয় তা জানানোর শর্ত মেনে চুক্তি করতে হবে। আগামী শনিবার, ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে চুক্তি করতে রাজি কি না তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে আগ্রহী দেশকে জানাতে হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ কোনো সংস্থা, বাহিনী বা ইউনিটের কাছে মার্কিন অনুদান বা সহায়তা পৌঁছাবে না, সে বিষয়েও নিশ্চয়তা দিতে হবে।

ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো বলছে, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা চায় না বাংলাদেশ। এ কারণে চুক্তি করতে রাজি আছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার একটি আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর চেষ্টা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সহায়তা পেতে মানবাধিকারের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থ কোথায়, কিভাবে কাজে লাগছে এবং ওই অর্থ কোনোভাবেই যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা ও অনুদানের ক্ষেত্রে এই আইনের প্রভাব পড়তে পারে। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর ওই দেশটির ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের’ আওতায় গত ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাতজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

২০১৮ সালে লেহি আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‌্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) তদন্ত শাখাকে মার্কিন অনুদান বা সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য নয় বলে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লেহি আইন প্রয়োগ মার্কিন অনুদান নিতে শর্ত মেনে দ্রুত জানাতে হবে

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে ‘লেহি আইন’ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে আগ্রহী দেশকে প্রাপ্ত অর্থ কোথায় ব্যয় হয় তা জানানোর শর্ত মেনে চুক্তি করতে হবে। আগামী শনিবার, ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে চুক্তি করতে রাজি কি না তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে আগ্রহী দেশকে জানাতে হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ কোনো সংস্থা, বাহিনী বা ইউনিটের কাছে মার্কিন অনুদান বা সহায়তা পৌঁছাবে না, সে বিষয়েও নিশ্চয়তা দিতে হবে।

ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো বলছে, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা চায় না বাংলাদেশ। এ কারণে চুক্তি করতে রাজি আছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার একটি আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর চেষ্টা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সহায়তা পেতে মানবাধিকারের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থ কোথায়, কিভাবে কাজে লাগছে এবং ওই অর্থ কোনোভাবেই যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা ও অনুদানের ক্ষেত্রে এই আইনের প্রভাব পড়তে পারে। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর ওই দেশটির ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের’ আওতায় গত ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাতজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

২০১৮ সালে লেহি আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‌্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) তদন্ত শাখাকে মার্কিন অনুদান বা সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য নয় বলে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।