মেডিকেলে চান্স পাওয়া জয়ের পাশে নির্বাহী অফিসার রনী খাতুন

- আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: মেডিকেল কলেজে ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হলেও জয় কর্মকার ও তার পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ভর্তি হওয়াকে ঘিরে। দিন এনে দিন খাওয়া সহায় সম্বলহীন দিনমজুর পিতা-মাতার পক্ষে সম্ভব ছিল না তার ভর্তি ফিস সরবরাহের। নিকটাত্মীয় শিক্ষক মামা মনোজিত কর্মকার এগিয়ে এলেও স্পষ্টত শংকা তৈরী হয়েছিল ব্যয়বহুল ঢাকা মেডিকেলে তার পড়ালেখার খরচ যোগানোকে ঘিরে।
জয় কর্মকার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের অশোক কর্মকার ও সুচিত্রা কর্মকার দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ছোট। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও তার বড় ভাই রাখি কর্মকার কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছে।
মুলত পত্রিকায় জয় কর্মকার ও তার পরিবারের অসহায়ত্ব নিয়ে খবর প্রকাশের পর সরে গেছে সব শংকা। ভর্তির খরচ যোগানোর পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেলে পড়ালেখায় জয়কে সহায়তায় হাত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনেকে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পত্রিকায় জয়ের মেডিকেলে ভর্তির অনিশ্চয়তার সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক মেধাবী এ শিক্ষার্থীর পাশে দাড়িয়েছেন শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। ৫ জানুয়ারী বুধবার তিনি সুন্দরবন তীরবর্তী জয়ের হরিনগর গ্রামের বাড়িতে যেয়ে সাহস যুগিয়েছেন অদম্য মেধাবী জয়কে। ভর্তির জন্য নগদে ১৫ হাজার টাকা হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যেকোন প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক পাশে থাকার।
এবিষয়ে জয়ের পিতা অশোক কর্মকার জানান এমন বিপদের মুহুর্তে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় আজ সকলে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, পাশে দাড়ানোর কথা শোনাচ্ছেন। সাংবাদিকদের কারনে তার মত অভাবী পরিবারের সন্তানকে দেশের এক নম্বর মেডিকেলে কলেজে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
জয়ের মা সুচিত্রা কর্মকার জানান, ইউএনও ম্যাডাম পেপার পড়েই ছুটে আসায় আমরা খুশি। তবে ছেলের জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করে তিনি জানান সুন্দরবনের নদীতে মাছ শিকারের কাজ থেকে উঠে যেয়ে তার ছেলে দেশের সেরা মেডিকেলে পড়বে। এটা ভেবে নিজে পুলকিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সবার ছেলে মেয়ে মেধাবী, তবে আমরা অভিভাবকরা একটু তৎপর হলি তারাও ভালো করতি পারবে।
এসব বিষয়ে ইউএনও মোছাঃ রনী খাতুন জানান, জয়ের মেধা শক্তি ও সফলতা আমাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে। এই অঞ্চলের মানুষের গর্ব জয় আরও ভাল কিছু করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
এদিকে জয়ের এমন অসহায়ত্মের কথা জানার পর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জয়কে নিজের দপ্তরে ডেকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের এক কর্মকর্তাসহ অষ্ট্রেলিয়ায় ও আমেরিকাতে বসবাসকারী দুই ব্যক্তি জয়কে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানায় তার মামা মনোজিৎ কর্মকার।