সাতক্ষীরা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের কমিটি গঠিত। সভাপতি শেখ হাসান গফুর, সাধারন সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার তছরুপ : বদলির পরেও দিনরাত অফিসে, নথি গায়েবের অভিযোগ ১৫ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সাতক্ষীরা জেলা বি এন পির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সাতক্ষীরার ডিবি গার্লস হাইস্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হেলপার শাহাদাত হোসেন মারা গেছে টিকটক ভিডিও বানাতে নিষেধ করায় স্বামীর উপর অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

ভোমরা বন্দরে ডিসেম্বর মাসে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: দেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৩৫ হাজার ৬৬৮ টন চাল আমদানি করে।

দেশে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি হচ্ছে। দেশের ৯২টি প্রতিষ্ঠান আমদানির অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১৩ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু করে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৫০ হাজার ১৬১ টন বিভিন্ন প্রকারের চাল আমদানি হয়। তারপরও বাজারে কমেনি দাম। দাম না কমার পেছনে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষছেন।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বন্দর ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে পণ্য পরিবহনে খরচ সাশ্রয় হয়। প্রায় প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে বড় পরিমাপের চালের চালান।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, ভোমরা বন্দর দিয়ে নিয়মিত চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। তবে দেশের বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে চালের দাম কমছে না। এজন্য প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এদিকে সুলতানপুর বড় বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাসিক আয়ের বড় অংশ খাবার কিনতে ব্যয় হচ্ছে।

স্কুল শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শুনছি ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আসছে। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। চালের মূল্য এখনো অস্বাভাবিক। কোনো পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে না।

তবে বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যাসহ নানা কারণে ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় চালের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম বেশি। মিল মালিকরা চালের দাম না কমালে আমরাও কমাতে পারবো না। ভারত থেকে আমদানি করা চাল ৫০ টাকার ওপরে কেনা পড়ছে। তাহলে পরিবহনসহ নানা খরচ যুক্ত করে কত টাকায় বিক্রি করবো?

তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে যে পরিমাণ চাহিদা সে তুলনায় চালের আমদানিও কম। চালের মজুত না বাড়লে বাজারে দাম কমবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভোমরা বন্দরে ডিসেম্বর মাসে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: দেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৩৫ হাজার ৬৬৮ টন চাল আমদানি করে।

দেশে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি হচ্ছে। দেশের ৯২টি প্রতিষ্ঠান আমদানির অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১৩ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু করে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৫০ হাজার ১৬১ টন বিভিন্ন প্রকারের চাল আমদানি হয়। তারপরও বাজারে কমেনি দাম। দাম না কমার পেছনে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষছেন।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বন্দর ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে পণ্য পরিবহনে খরচ সাশ্রয় হয়। প্রায় প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে বড় পরিমাপের চালের চালান।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, ভোমরা বন্দর দিয়ে নিয়মিত চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। তবে দেশের বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে চালের দাম কমছে না। এজন্য প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এদিকে সুলতানপুর বড় বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাসিক আয়ের বড় অংশ খাবার কিনতে ব্যয় হচ্ছে।

স্কুল শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শুনছি ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আসছে। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। চালের মূল্য এখনো অস্বাভাবিক। কোনো পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে না।

তবে বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যাসহ নানা কারণে ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় চালের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম বেশি। মিল মালিকরা চালের দাম না কমালে আমরাও কমাতে পারবো না। ভারত থেকে আমদানি করা চাল ৫০ টাকার ওপরে কেনা পড়ছে। তাহলে পরিবহনসহ নানা খরচ যুক্ত করে কত টাকায় বিক্রি করবো?

তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে যে পরিমাণ চাহিদা সে তুলনায় চালের আমদানিও কম। চালের মজুত না বাড়লে বাজারে দাম কমবে না।