সাতক্ষীরা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হেলপার শাহাদাত হোসেন মারা গেছে টিকটক ভিডিও বানাতে নিষেধ করায় স্বামীর উপর অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা সাতক্ষীরায় যুবলীগ আহ্বায়কসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলায় ৯ জন গ্রেপ্তার লুটপাট চাঁদাবাজির ঘটনা চাপা দিতে এনজিও সদস্যদের নিয়ে মিছিল সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসক কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন নুনগোলায় মা মেয়েকে হত্যার দায়ে ঘাতক শান্তা আক্তার গ্রেফতার  শহীদ জিয়াই এদেশে শিক্ষকদের জন্য প্রথম এমপিওভুক্ত করেন: হাবিব সাতক্ষীরায় দিগন্ত পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের মধ্যে, ১৩ যাত্রী আহত সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিল জেয়ালায় চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার লুট

কালিগঞ্জে ১১ টি সাইকেল সহ ১ চোর ও ২ ব্যবসায়ী আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ১১ টি চোরাই সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে ১ চোর ও দুই জন ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল। সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের মৃত কেনা চৌকিদারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম চোর, পরমানানন্দ কাটি গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলার ভাংড়ি ব্যবসায়ী হাফিজুর ইসলাম।

মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল জানান,গত চার দিন আগে মৌতলার লক্ষীনাথপুর গ্রামে ইসলামী মাহফিল থেকে একটি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়ার তিন দিন পরে ওই ভ্যান ভাংড়ি ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। রুহুল আমিন চোর রাজিবুলের নিকট থেকে ভ্যানটি নিয়েছে বলে জানান। সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান চোর রাজিবুলকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে আটক করলে সে বিগত ১ সপ্তাহ আগেও দুইটি চুরিকৃত সাইকেল রুহুল আমিনের নিকট বিক্রি করেছে স্বীকারোক্তি দেয়। চোর রাজিবুল আরো স্বীকারোক্তি দেয় বিগত গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সে ৪৬ টি সাইকেল ও দুইটি ভ্যান চুরি করেছে। চুরিকৃত সাইকেলগুলোর মধ্যে ২০টি

হাফিজুর ও তার ছেলে বাবু এবং ১৫ টি বিক্রি করেছে আলমের কাছে, সিরাজের কাছে ৮ টি এবং রুহুল আমিনের কাছে কাছে ৩ টি সাইকেল বিক্রি করেছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নির্দেশে দফাদার গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে চোরাই সাইকেল উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় মৌতলা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সিরাজের দোকান থেকে ৬ টি, বাসস্ট্যান্ড মসজিদে মার্কেটে অবস্থিত হাফিজুরের দোকান থেকে দুইটি ও তার বাড়ি থেকে দুইট এবং শ্যামনগর উপজেলার মাজাটে অবস্থিত রুহুল আমিনের গোডাউন থেকে একটি মোটর সাইকেল ও একটি বাই সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দফাদার পৌঁছানোর আগে আলম দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে চোর রাজিবুল ও ভাংড়ী ব্যবসায়ী সিরাজ ও হাফিজুরকে চেয়ারম্যান পুলিশে সোপর্দ করেন। ব্যবসায়ী রুহুল আমিন,আলম ও বাবু এলাকায় না থাকায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। ফেরদাউস মোড়ল আরো বলেন,মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি দোকানদার চোরদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে চোরাই মালামাল কেনাকাটা করেন। চোরদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করে দিয়েছে মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান চুরির অভিযোগে রাজিবুলকে ও চোরাই মাল কেনার জন্য সিরাজুল ও হাফিজুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১১ টি সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে চুরির সাথে অন্যকোন ব্যবসায়ী বা চক্র জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কালিগঞ্জে ১১ টি সাইকেল সহ ১ চোর ও ২ ব্যবসায়ী আটক

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ১১ টি চোরাই সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে ১ চোর ও দুই জন ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল। সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের মৃত কেনা চৌকিদারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম চোর, পরমানানন্দ কাটি গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলার ভাংড়ি ব্যবসায়ী হাফিজুর ইসলাম।

মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল জানান,গত চার দিন আগে মৌতলার লক্ষীনাথপুর গ্রামে ইসলামী মাহফিল থেকে একটি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়ার তিন দিন পরে ওই ভ্যান ভাংড়ি ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। রুহুল আমিন চোর রাজিবুলের নিকট থেকে ভ্যানটি নিয়েছে বলে জানান। সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান চোর রাজিবুলকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে আটক করলে সে বিগত ১ সপ্তাহ আগেও দুইটি চুরিকৃত সাইকেল রুহুল আমিনের নিকট বিক্রি করেছে স্বীকারোক্তি দেয়। চোর রাজিবুল আরো স্বীকারোক্তি দেয় বিগত গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সে ৪৬ টি সাইকেল ও দুইটি ভ্যান চুরি করেছে। চুরিকৃত সাইকেলগুলোর মধ্যে ২০টি

হাফিজুর ও তার ছেলে বাবু এবং ১৫ টি বিক্রি করেছে আলমের কাছে, সিরাজের কাছে ৮ টি এবং রুহুল আমিনের কাছে কাছে ৩ টি সাইকেল বিক্রি করেছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নির্দেশে দফাদার গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে চোরাই সাইকেল উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় মৌতলা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সিরাজের দোকান থেকে ৬ টি, বাসস্ট্যান্ড মসজিদে মার্কেটে অবস্থিত হাফিজুরের দোকান থেকে দুইটি ও তার বাড়ি থেকে দুইট এবং শ্যামনগর উপজেলার মাজাটে অবস্থিত রুহুল আমিনের গোডাউন থেকে একটি মোটর সাইকেল ও একটি বাই সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দফাদার পৌঁছানোর আগে আলম দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে চোর রাজিবুল ও ভাংড়ী ব্যবসায়ী সিরাজ ও হাফিজুরকে চেয়ারম্যান পুলিশে সোপর্দ করেন। ব্যবসায়ী রুহুল আমিন,আলম ও বাবু এলাকায় না থাকায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। ফেরদাউস মোড়ল আরো বলেন,মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি দোকানদার চোরদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে চোরাই মালামাল কেনাকাটা করেন। চোরদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করে দিয়েছে মৌতলার অধিকাংশ ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান চুরির অভিযোগে রাজিবুলকে ও চোরাই মাল কেনার জন্য সিরাজুল ও হাফিজুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১১ টি সাইকেল ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে চুরির সাথে অন্যকোন ব্যবসায়ী বা চক্র জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।