আশরাফুজ্জামান আশুর ইশতেহার সাতক্ষীরার গণমানুষের ভাগ্য বদলের অপেক্ষায়

- আপডেট সময় : ০৮:০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা কন্ঠ ডেস্ক: গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু। আশরাফুজ্জামান আশু গত প্রায় ৫০ বছর মানুষের সাথে মিশে সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে বহুমুখী কাজ চালিয়ে আসছেন। আশুর এসব সমাজ ও জনসেবামূলক কর্মকান্ডের প্রশংসা গোটা অঞ্চলের লাখো মানুষের মুখে মুখে।
এরআগে, গত ৪ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ নির্বাচনী জনসভায় হাজারো মানুষের সম্মুখে ইশতেহার ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু। তার এই ইশতেহারে সাতক্ষীরার নির্যাতিত-নিপীড়িত সাধারণ মানুষ তাদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন।
হাজারো জনতার সামনে ওয়াদা করে আশরাফুজ্জামান আশু ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, বিনা পয়সায় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে, চাকরির জন্য কাউকে একটি টাকাও দিতে হবে না। সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা বেকার সমস্যা, এই বেকার সমস্যা দূর করা হবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাদ্রাসা, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো নির্মাণ করা হয়নি সেগুলো নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। সাতক্ষীরার একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে, সরকারিভাবে যেন বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালনা করা যায় সেটিরও ব্যবস্থা করা হবে। সাতক্ষীরা পৌরসভারসহ সদরের ১৪টি ইউনিয়নের যে প্রধান সমস্যা জলবদ্ধতা, সেই জলবদ্ধতা দূর করণে যে পরিকল্পনা সাবেক সংসদ সদস্য এমএম জব্বার সাহেব নিয়েছিলেন সেগুলো বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আছে, জলবদ্ধতা নিরসনে সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, প্রতিটা ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা যেভবে অসম্মানিত হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা যাতে সম্মানিত হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। মাদক একটি অভিশাপ, এই মাদক মুক্ত সাতক্ষীরা আমরা গড়বো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর যে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়ে আছে, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়েও ডিওলেটার নিতে পারেননি, আমার ডিও নিতে গেলে একটি টাকাও দিতে হবে না। আমাদের সাতক্ষীরায় একটি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল, যে বস্ত্রকলটি এশিয়ার বৃহত্তম একটি বস্ত্রকল, এই বস্ত্রকলটি গত ১০ বছর বন্ধ হয়ে আছে, আমি নির্বাচিত হয়ে এই টেক্সটার মিল পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করবো, যেখানে ৫ থেকে ৬ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, ভোমরা বন্দরকে ব্যবসায়ীদের উপযোগী ও শ্রমিকবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। উন্নয়ন কল্পে বছরে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা অনুদান দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এই টাকা যাতে সুষম বন্টন করা হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। এই সকল কার্যক্রম জেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
সাতক্ষীরা শহরের চা-দোকানি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে আমরা আমাদের মনের মতো একজন এমপি পেয়েছি, আমাদের সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল গত ১০ বছর বন্ধ, আমাদের এমপি সাহেব শেষ নির্বাচনী জনসভায় এই টেক্সটার মিলটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটা চালু হলে আমার মতো কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
দেশের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরার অন্যতম সমস্যা হল বেকারত্ব, জেনে ভালো লাগছে আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয় বিনা পয়সায় চাকরির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তিনি এই বেকার সমস্যা দূর করণে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের যুগ্ন মহাসচিব আবু সুফিয়ান বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা অসম্মানিত হই, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সম্মানিত করার ব্যবস্থা করা আসলেই একটি প্রশংসোনীয় উদ্যোগ।