আমতলীতে বিএনপি’র সভা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে টাকা নেওয়ায় নির্বাচন বানচালের আশংকা স্হানীয় আওয়ামী লীগের

- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
(বরগুনা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের নির্বাচনে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান এর কাছ থেকে আমতলী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জালাল উদ্দীন ফকির দলের সভা করে টাকা নেওয়ার ফাঁস হওয়া অডিওতে আমতলীতে তোলপাড় চললেও স্হানীয় আওয়ামী লীগ এটিকে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা বলে মনে করছে।
স্হানীয় আওয়ামী লীগের দাবি,কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান বিএনপি ঘরানার।তার পিতা ও ভাইয়েরা বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট।এমনকি তার এক ভাই বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা যুব দলের সভাপতি।এবং এদের সাথে রয়েছেন আমতলীর এক সাবেক জনপ্রতিনিধি যিনি এক সময় বিএনপি’র রাজনীতির সরাসরি সাথে যুক্ত ছিলেন।এখন সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বিএনপির সাথে তার রয়েছে ঘনিষ্ঠতা। এদের মাধ্যমেই আমতলীর বিএনপি’কে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা করছে। তারা আরও দাবি করেন, বিএনপি ইতিপূর্বে আমতলীতে ঢাকাগামী বাসে অগ্নিসংযোগ সহ একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।তাই প্রশাসন সহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রেখে এ ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্হানীয় আওয়ামী লীগ।
এদিকে,ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফোরকান মিয়ার।এই প্রস্তাবটিই নিজ দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সামনে তুলে ধরে প্রতিশ্রুত অর্থ পাইয়ে দেওয়ার কথা জানান আমতলী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকির।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আন্দোলন জোরদার কথা বলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল ফকির গত বুধবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় ডেকে নেন।
ওই বৈঠকে জালাল উদ্দিন ফকির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছে-তাঁকে ভোট দিলে তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে খরচ বাবদ এক লাখ করে টাকা দেবেন। এই মুহূর্তে নেতা-কর্মীদের হাতে টাকা-পয়সা নেই।পদধারী ছাত্রদল,যুবদলসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নামতে পারবে না। তবে সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে।’
ঐ সভায় উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব তুহিন মৃধাকে বলতে শোনা গেছে, ‘এত অল্প টাকার জন্য কেন আন্দোলন-সংগ্রাম ছেড়ে কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে পাঠাবেন।’ এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ফকির বলেন, ‘আমার পেটে ক্ষুধা আছে। আন্দোলন-সংগ্রামে কেউ ৫০ হাজার,এক লাখ টাকা দিতে পারবেন?পারবেন মাত্র ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা দিতে।’
১০ মিনিটের ওই অডিও ফাঁস হওয়ার পর একদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে অপরদিকে স্হানীয় আওয়ামী লীগের আশংকা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখার সময়ে জানা যায়,টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে আমতলী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জালাল উদ্দীন ফকিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।